সুব্রত চৌধুরী : নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক কাউন্টিতে বসবাসরত প্রবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থীরা “নিউ বৃন্দাবন”এ তীর্থযাত্রার প্রথম দুই দিন বেশ আনন্দে অতিবাহিত করেছেন।
প্রবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থীরা গত ২৫ জুলাই, সোমবার সকালে তীর্থযাত্রা উপলক্ষে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার মার্শাল কাউন্টিতে অবস্থিত হিন্দুদের পবিত্র ধর্মীয় তীর্থস্থান ‘নিউ বৃন্দাবন’ এ গমন করেন। বৈদিক মন্ত্র ও পবিত্র গীতা পাঠের মাধ্যমে তীর্থযাত্রার শুভ সূচনা করেন পুণ্যার্থীরা। যাত্রা পথে পুণ্যার্থীরা মালা জপ, হরিনাম সংকীর্তন সহ বৈদিক মন্ত্র ও পবিত্র গীতা পাঠ করেন।


যাত্রা পথে তীর্থযানের গতির সাথে তাল মিলিয়ে সম্মিলিত কন্ঠে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতে থাকে ‘হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, হরে রাম, হরে রাম’, আর তা তীর্থযানের ভেতর অপূর্ব এক সুর মূর্ছনার সৃষ্টি করে। ভক্তবৃন্দের সম্মিলিত কোরাসে হরিনাম সংকীর্তনের সুললিত সুর, ‘হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, হরে রাম, হরে রাম’ এ অদ্ভুত এক ভালো লাগায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে সবার মনপ্রাণ।
তীর্থযাত্রার আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, তিন হাজার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত প্রাকৃতিক রূপের লীলাভূমি, ধর্মীয় পীঠস্থান ‘নিউ বৃন্দাবন’ এ পুণ্যার্থীরা গেছেন “অমৃতের সন্ধান” পেতে। “নিউ বৃন্দাবন”এ পুণ্যার্থীরা মালা জপ, পূজার্চনা, কীর্তন, ভজন, হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে নিউ বৃন্দাবন পরিভ্রমণ, প্রসাদ গ্রহণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহনের মাধ্যমে তীর্থযাত্রার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত করেন।



“তীর্থ পরিক্রমা পূণ্য অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম। মনে ধর্মভাব জাগলে নৈতিকতার বহিঃপ্রকাশ এমনিতেই ঘটে, আর তাতে উপকৃত হয় সমাজ, সংসার। সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে তীর্থভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এই উপলব্ধি থেকেই তীর্থভ্রমণের আয়োজন”- জানান আয়োজকদের অন্যতম আটলান্টিক সিটি স্কুল বোর্ড সদস্য সুব্রত চৌধুরী।


শিল্পী দম্পতি তৃপ্তি সরকার ও সজল দাশ, দীপংকর মিত্র, সুনীল দাশ, সজল চক্রবর্তী, দীপা দে, প্রবীর তালুকদার, রুমী মল্লিক, গঙ্গা সাহা, রানা দাশ, ধীমান পাল প্রমুখের যথাযথ কর্মোদ্যোগে তীর্থযাত্রার প্রথম দুই দিন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়ায় আটলান্টিক সিটি স্কুল বোর্ড সদস্য সুব্রত চৌধুরী সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
নিউ বৃন্দাবনে তীর্থযাত্রা উপলক্ষে আটলান্টিক কাউন্টির প্রবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে।