আটলান্টিক সিটি থেকে সুব্রত চৌধুরী-
পরিকাঠামো প্রযুক্তির এক বিস্ময় ‘পদ্মা সেতু’র উদ্বোধনকাল স্মরণীয় করে রাখতে নিউ জারসি রাজ্যের আটলান্টিক সিটির প্রবাসী বাংলাদেশিরা “বিজয় উৎসব” করেছে।



গত ২৪ জুন, শুক্রবার রাতে (স্হানীয় সময়) আটলান্টিক সিটির ২৭০৯, ফেয়ারমাউণ্ট এভিনিউস্থ “বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার” এর মিলনায়তনে এ ‘বিজয় উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।‘বিজয় উৎসব’ এর আয়োজন করে সাউথ জারসি মেট্রো আওয়ামী লীগ।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল কথামালা, আবৃত্তি ও আতশবাজি পোড়ানো ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রফিক।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মনিরুজামান মনিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বোরহান উল্লাহ কাউসার, শেখ কামাল মঞ্জু, আব্দুর রহিম, মো: বেলাল হোসেন,নূর মোহাম্মদ, কাজী মান্নান, ঝুলন পাল, বেলাল উদ্দীন প্রমুখ।


অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু নিয়ে স্বরচিত ছড়া পাঠ করেন ছড়াকার সুব্রত চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে পদ্মা সেতুর মতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। বিশাল প্রতিবন্ধকতার পথে হাঁটতে হাঁটতে ঠিকই তিনি গন্তব্যে পৌঁছেছেন। সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত ষড়যন্ত্রের জাল দৃঢ়তার সঙ্গে ছিন্ন করে তিনি সত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই তো পদ্মা সেতু আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাস, দূরদর্শিতা আর নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সাহসের প্রতীক, তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বাক্ষর। শেখ হাসিনার শাসনামলে বিশ্ব আরও একবার বাংলাদেশের সক্ষমতা জানার সুযোগ পেল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পদ্মা সেতু আজ আর শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি এখন বাঙালী জাতির গর্ব, আত্মমর্যাদা ও অহঙ্কারের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সততা ও সাহসিকতার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে উচ্ছ্বসিত গোটা জাতি।
এটি শুধু একটি রড-কংক্রিট-ইস্পাতে নির্মিত সেতু নয়, সেতু থেকে আরও বড় কিছু। বাঙালীর আবেগ, উন্নত জীবনের স্বপ্ন, উন্নয়নের উপাখ্যান, অনন্য ভালবাসা, আরও অনেককিছু।কোটি কোটি মানুষের আবেগ ও প্রত্যাশার দ্বার উন্মোচন। এক সাহসী রাষ্ট্রনায়কের দৃঢ় অঙ্গীকার ও স্বপ্ন পূরণের গল্প।
বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে থাকা বাঙালী জাতির আরেকটি অহঙ্কার নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা এই মাইলফলক।
বক্তারা বলেন, পদ্মার ওপর যেন ফুটে উঠেছে একটি বিশাল পদ্ম।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের সফল রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থ যোগানদাতা দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠান চলাকালে ক্ষণে ক্ষণে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে অনুষ্ঠানস্থল প্রকম্পিত করে তোলেন।
বিজয় উৎসবে উপস্হিত সবাইকে কেক কেটে খাওয়ানো হয় ।
আতশবাজি পোড়ানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।