আটলান্টিক সিটি থেকে সুব্রত চৌধুরী : প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাংলাদেশে অনেকটা প্রবাদ বাক্যের মতোই প্রচলিত “পিঠা ছাড়া শীত জমেই না”।এই আপ্তবাক্যটি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদের মনোভূমে এমনভাবে প্রোথিত হয়ে আছে যে সুদূর প্রবাসেও তারা তা ভুলতে পারেনি। তাইতো হিমের রাতে শীতের মজা লুটতে গত ১৫ মার্চ, মংগলবার প্রবাসীরা মেতে উঠেছিল জমজমাট পিঠা উৎসবে।


বিজাতীয় সংস্কৃতিতে নতুন প্রজন্ম যখন গা ভাসিয়ে দিচ্ছে, নিজস্ব সংস্কৃতি আর কৃষ্টিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে, লোপ পাচ্ছে মানবিকতা- এমনই সময়ে অন্যান্যবারের মতো অয়োজন করা হয়, বাঙালি সংস্কৃতির বর্ণাঢ্য আয়োজন ‘পিঠা উৎসব’ ।


নিউজারসি রাজ্যের প্লিজেন্টভিল শহরের ৮০২৯, ইস্ট ব্ল্যাক হর্স পাইকে অবস্হিত “ওহ সেন্ট জোসেফ হোটেল”এ গত ১৫ মার্চ , মংগলবার সন্ধ্যায় জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির উদ্যোগে “পিঠা উৎসব” এর আয়োজন করা হয়।


পিঠা উৎসবের আয়োজনের মধ্যে ছিল কথামালা, বাহারি পিঠার প্রদশর্নী, কবিতা পাঠ ও সংগীত অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে পাঠ, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম টফি ও সাধারন সম্পাদক সৈয়দ শহীদ। শুভেচছা বক্তব্য রাখেন আটলান্টিক সিটি স্কুল জেলার সুপারিনটেনডেনট মিসেস লা কোয়েটা স্মল, সোহেল আহমদ, ফারুক তালুকদার, শহীদ খান, জহিরুল ইসলাম বাবুল, আকবর হোসেন।অনুষ্ঠানে সংগঠনের নতুন কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি ও ট্রাষটি বোর্ড এর সদস্যদের সুধীজনদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।


অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জয়ন্ত সিনহা।বাংলাদেশের বাহারি পিঠা নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন লেখক সাংবাদিক সুব্রত চৌধুরী।
পিঠা উৎসবের সার্বিক সহয়োগিতায় ছিলেন হাফিজুর রহমান ,আবদুল কালাম,মনসুর মিয়া ,সবুর মিয়া ,সায়েম আহমদ ,সুজেল আহমদ ,লিপন আহমদ প্রমুখ ।
জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির সভাপতি আমিরুল ইসলাম টফি ও সাধারন সম্পাদক সৈয়দ শহীদ ‘পিঠা উৎসব’ সফল করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।