দেশেই প্রথমবারের মতো গ্যাস প্রিপেইড মিটার সংযোজন কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মূলত সব শ্রেণির গ্যাস গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার লক্ষ্যেই ওই কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি মূলত মিটার আমদানি খরচ কমানোর লক্ষ্যে জাপানের দুটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নতুন গ্যাস মিটার সংযোজন (অ্যাসেম্বলিং) কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। আর এটিই হবে দেশের প্রথম গ্যাস মিটার সংযোজন কারখানা। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গ্যাস প্রিপেইড মিটার সংযোজন কারখানাটি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে নির্মাণ করা হবে। যৌথ উদ্যোগের কোম্পানিটিতে তিতাসের এবং জাপানের দুইটি কোম্পানির সমান মালিকানা থাকবে। বর্তমানে পোস্ট পেইডের চেয়ে প্রিপেইড গ্যাসে খরচ কম। গ্রাহক চাহিদা থাকার পরও গত ৭ বছরে গৃহস্থালি গ্রাহকদের মধ্যে মাত্র সোয়া ৩ লাখ গ্রাহককে পোস্ট পেইড বদলে প্রিপেইড মিটার সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে তিতাস গ্যাস।
সূত্র জানায়, কম গ্যাস সরবরাহ করে বেশি অর্থ উপার্জনের জন্যই তিতাস ইচ্ছাকৃতভাবে পিপেইড মিটার পরিষেবা সম্প্রসারণে ধীরগতিতে এগোচ্ছে। তবে তিতাস সংশ্লিষ্টদের দাবি, পোস্ট পেইড বা বার্নার হিসেবে গ্রাহকরা যখন গ্যাস ব্যবহার করে তখন অনেক অপচয় করে। কিন্তু প্রিপেইড হলে গ্রাহকরা সাশ্রয়ী আচরণ করে।
এ প্রসঙ্গে তিতাস গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ মোল্লা জানান, সামনের দিনে তিতাসের বিপুল পরিমাণ মিটারের প্রয়োজন হবে। মিটার আমদানির চেয়ে দেশে তৈরি বা সংযোজন অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী। কারখানাটি স্থাপিত হলে মিটার উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি দেশীয় কারিগরি সক্ষমতাও বাড়বে। গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড মিটার স্থাপন করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েক বার নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু এর আগে এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা-কর্মসূচি দেখা যায়নি।
যৌথ উদ্যোগে দেশে নির্মিত হচ্ছে গ্যাস প্রিপেইড মিটার সংযোজন কারখানা
আরও খবর