ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকান্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ জন হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ৩৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১ জন মারা গেছে।
এ ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়,বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কতৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) ও স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) মৃত ব্যক্তিদের পরিবার প্রতি দেড় লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষনা দিয়েছে ।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে এ সহায়তার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া মৃতদের পরিবার প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন লঞ্চে ৩৫০ জন যাত্রী ছিল। তবে তদন্ত শেষে প্রকৃত যাত্রী সংখ্যা জানা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার দুপুরে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ যাত্রীদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গেলে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদকে আহ্বায়ক করে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
অপরদিকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক (ডিসি) জোহর আলী জানান, তাদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ইঞ্জিনের কক্ষ থেকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
লঞ্চে আগুনে মৃত্যু ৩৭ জন : পৃথক ৩ তদন্ত কমিটি গঠন
আরও খবর