নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন নারী, দুইজন পুরুষ ও একজন শিশু। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যতক্ষণ প্রয়োজন, ততক্ষণ উদ্ধার অভিযান চলবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই লঞ্চের যাত্রী মোহাম্মদ জনি জানান, একটি কার্গোবাহী জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিলে মুহূর্তেই লঞ্চটি ডুবে যায়। পরে আমরা অনেকেই সাঁতরে তীরে উঠেছি। তবে অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। লঞ্চে ৭০ জনের মত যাত্রী ছিল। উপরে যারা ছিলেন তারা সাঁতরে উঠতে পেরেছেন। ভেতরের একজনও বের হতে পারার কথা নয়।
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনশীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল লঞ্চ আশরাফ উদ্দিন। পথে এমভি রূপসী-৯ নামে একটি কার্গোবাহী জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি মুহূর্তেই ডুবে যায়। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী সাঁতারে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন। তবে লঞ্চে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল কাজ শুরু করেছে। ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শনাক্ত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।