- – বব দেবাশীষ দাস
কোথায় তুমি কেমন আছো,
সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর ওপার বসে আমায় কি আর স্বপ্নে দেখো
বাসতে যখন ভালো আমায়, প্রতি দিনের প্রতি ক্ষনে, খবর নিতে
কেমন আছি, কোথায় আছি, সময় গুলো কাটছে কেমন, নাওয়া
খাওয়ার হিসেব নিতে ।
বুকের মাঝে কস্ট যত খাচ্ছে খাবি অবিরত,
শুনতে কি পাও, জানতে চেয়ে দাওনি চিঠি,
হে বালিকা এখন তুমি কেমন আছো, কোথায় আছো,
নস্ট সময় স্মরন করে এখনো কি দুঃখ পাও,
দু দন্ডের সময়টাতে ঝড়ের গতি প্রকট ছিলো,
তুমুল দাহে পুড়ছিলো যে জোড়া শরীর,
দ্রুত গতির অশ্ব যেমন ছুটে চলে, ভীশন সুখে মাতোয়ারা ।
এসব সুধু স্বপ্ন ছিলো হয়তো বা সে সত্যি ছিলো,
হয়তো বা সে ছিলো সুধু খানিক ঝড়ের পূর্বাভাস,
যেমনি করে জীবন কোণে আসে তাবৎ জলোচ্ছাস,
বালিকা তোমার মনে আছে সেই বিকেলে সুন্দর এক সাঁজের কালে
কি দুরন্ত তুমি ছিলে, আমায় তুমি ডুবিয়ে দিলে গহীন জলের অন্তরালে,
এসব এখন সুধুই স্মৃতী, ভাবছো জানি ,
ডুবে যাওয়া সময় গুলো আর কিছু না
হতেই পারে এমন কিছু,
নস্ট সময়, নস্ট স্মৃতী, নস্ট অতীত আঁকড়ে ধরে
লাভ কি বলো, তার চে ভালো ঝেড়ে ফেলো,
হয়নি কিছু এমন ভাবো, যাবতীয়
স্মৃতীর চাদর গুটিয়ে নিয়ে একলা পথে একলা হাঁটো,
বালিকা তুমি এমনই তো চেয়েছিলে ,
আবেগ ধুয়ে পানি খাবার সময় তোমার বয়েই গেছে,
ঝাঁ চকচক শরীরটাকে পন্য করে শিকার কর নিঝুম রাতে,
প্রয়োজনের নিলাভ লোভে শয্যা পাতো,
নোতুন কোনো যুধ্বে যাবার স্বপ্ন দেখো,
যে করে হোক মাঝ আকাশে উড়তে হবে,
সোনার হরিণ ধরতে হবে, শরবিধ্ব হয় সে হোক
তাতে আর কিইবা এলো, যুধ্বে তোমায় জিততে হবে,
নোতুন কোনও খেলার ছলে কাঊকে তোমার বিধতে হবে,
হে বালিকা আর কত কাল বাজবে তোমার মোহন বাঁশী
বাঁকা হাসি হেসে তুমি বলছো আমায় কোন জন্মে ছিলাম ভালো
জীবনটাকে বুঝতে শেখো, আবেগ টাবেগ শিকেয় তোলো
ভালো লাগা, ভালোবাসা এসব সুধু কথার কথা,
সময় মতো বুঝবে যেদিন, হিল্লে হবে সেদিন তোমার ।
বালিকা আমি পারি নিতো, বুঝতে আমি শিখি নিতো,
কবে বুঝবো কবে শিখবো তোমার মত নিপুন হতে,
বালিকা তুমি কেমন আছো, মাঝ রাত্রে ঘুমের ঘোরে
আমায় দেখে চমকে ওঠো, এতো কিছুর পরও তুমি ভালো থেকো ।
হে বালিকা
আরও খবর