হলিউডের গান শুনতে আমরা কম বেশি সবাই ভালোবাসি। আবার অনেকের হয়তো একটু বেশিই পছন্দ। বছর শেষে বিলবোর্ড প্রকাশ করেছে ২০২১ সাল মাতিয়ে রাখা ১০০টি গানের তালিকা। সেই তালিকা থেকে শীর্ষ পাঁচটি গানের নাম দেওয়া হলো। চাইলে আপনিও শুনে এবং দেখে নিতে পারেন এই গানগুলো।
সিল্ক সোনিক, ‘লিভ দ্য ডোর ওপেন’
‘লিভ দ্য ডোর ওপেন’ গানটি মাত্র পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ১০০ গানের মধ্যে এক নাম্বারে চলে এসেছে। বছরের সেরা গান এবং রেকর্ডের জন্য গ্র্যামি মনোনয়নও পেয়েছে গানটি। ব্রুনো মার্সের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গানটি ইতিমধ্যে ৪৬০ মিলিয়ন ভিউয়ার্স অতিক্রম করেছে।
অলিভিয়া রডরিগো, ‘গুড ফর ইউ’
ডেবিউ করেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে অলিভিয়া একজন। ‘গুড ফর ইউ’ গান দিয়ে তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গেছেন। ‘গুড ফর ইউ’ ২০০০ সালের পপ-পাঙ্ক অ্যাংস্টের সাথে জিভ-ইন-চিক গানের সাথে স্পাইক করা ফিঙ্গার-আপ অ্যান্থেম। তার গানের লেখা অনেক সাবলীল, তার চেয়েও সুন্দর তার কণ্ঠস্বর। যা তার গানকে আরও উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছে। প্রথম ডেবিউ অ্যালবামে করা গানটি ১০০ এর মধ্যে টপ চার্টে রয়েছে। যা অলিভিয়ার পারদর্শিতা প্রমাণ করে। ইতিমধ্যে রডরিগোর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গানটি ৩১৫ মিলিয়ন ভিউয়ার্স অতিক্রম করেছে।
দুয়া লিপা, ‘লিভেটেটিং’
লিভেটেটিং গানের কথাগুলো এতোটাই সুন্দর যে তা আপনাকে মুগ্ধ করবে। গানটির টাইটেলেই বুঝা যাচ্ছে যে গানের সাথে নেচে উঠবেন আপনি। গীতিমূলক প্রেমের গল্প থেকে শুরু করে সরাসরি ছায়াপথে ভাসমান, হাততালির বিট যা আপনাকে উঠতে এবং নাচতে বাধ্য করবে। ‘লেভিটেটিং’ হলো দুয়া লিপার দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম, ফিউচার নস্টালজিয়ার একটি গান। লিখেছেন লিপা, ক্লারেন্স কফি জুনিয়র, সারাহ হাডসন এবং স্টিফেন কোজমেনিউক।
গানটি ইলেক্ট্রো-ডিস্কো এবং নু-ডিস্কো গান যার বেশ কয়েকটি ডিস্কো ট্রপ রয়েছে। এটি ডান্স-পপ, পপ-ফাঙ্ক, পাওয়ার পপ এবং স্পেস রকের পাশাপাশি ১৯৭০, ১৯৮০, এবং ১৯৯০ সালের পপ এবং আর এন্ড বি শৈলীর মিশ্রণে তৈরি। শুরুতে চার্টের শীর্ষে না থাকলেও বছর শেষে গানটি শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে। গানটি ৪৩১ মিলিয়ন ভিউয়ার্স অতিক্রম করেছে।
লিল নাস এক্স এবং জ্যাক হারলো, ‘ইন্ডাস্ট্রি বেবি’
‘ইন্ডাস্ট্রি বেবি’ গুরুত্বপূর্ণ কারণ একজন কুয়ার মেল র্যাপার এবং স্ট্রেইট মেল র্যাপার মিলে গানটি গেয়েছেন। গানটি লিল নাস এক্স এর জন্য আরেকটি বড় হিট। যা তার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রথম অ্যালবাম ‘মন্টেরো’ তে রিলিজ হয়েছে। ৬৪তম বার্ষিক গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে সেরা মেলোডিক র্যাপ পারফরম্যান্সের জন্য গানটি মনোনয়ন পেয়েছে। ৭ আগস্ট ২০২১ এর প্রথম সপ্তাহে বিলবোর্ডের ১০০ গানের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইন্ডাস্ট্রি বেবি। গানটি ইউটিউবে ২৫৪ মিলিয়ন ভিউয়ার্স অতিক্রম করেছে।
টেলরস সুইফট, ‘অল টু ওয়েল’
‘অল টু ওয়েল’ টেলরস সুইফটের চতুর্থ স্টুডিও অ্যালবাম রেড (২০১২) থেকে নেওয়া। সুইফট ‘অল টু ওয়েল’-এর দুটি সংস্করণ পুনঃরেকর্ড করেছে। প্রথমটি পাঁচ মিনিটের ট্র্যাক এবং দ্বিতীয়টি দশ মিনিটের দীর্ঘ সংস্করণ। তার দ্বিতীয় পুনঃরেকর্ড করা অ্যালবাম, রেড (টেলরস ভার্সন) ‘অল টু ওয়েল’ (১০ মিনিট সংস্করণ)। ‘অল টু ওয়েল: দ্য শর্ট ফিল্ম’ নামে পরিচিত এটি।
‘অল টু ওয়েল’ (টেলরস ভার্সন) বিভিন্ন দেশে চার্টের শীর্ষে রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সাফল্য পেয়েছে। দীর্ঘতম গান হিসেবে বিলবোর্ড হট একশোতে এক নম্বরে পৌঁছে আগের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙেছে।