রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সমস্যার সমাধান এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
গতকাল বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ছয়টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ তাদের পরিচয়পত্র পেশ করার সময় তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বাসসকে বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাঁচ রাষ্ট্রদূত এবং একজন হাইকমিশনার গতকাল রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
তারা হলেন মাল্টার হাইকমিশনার রুবেন গাউসি এবং পাঁচ রাষ্ট্রদূত কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের আসউইন ইসায়েভ, ফিনল্যান্ডের রিতভা কাউকু-রোন্ডে, সিয়েরা লিওনের রশিদ সেসে, হাঙ্গেরির আন্দ্রাস লাসজলো কিরালি এবং কলম্বিয়ার মারিয়ানা পাচেকো মন্টেস।
বঙ্গভবনের দূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ আশা করেন নতুন দুতগণ তাদের দায়িত্ব পালনকালে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারদের সহযোগিতায় এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তির কারণে গোটা বিশ্ব এখন পরস্পর নির্ভশীল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, নিজ নিজ দেশের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্প উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
মহামারী করোনাকালে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি বিপর্যস্ত হলেও সরকারের সময় উপযোগী পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিমধ্যে মধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জলবায়ু প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। এ ব্যাপারে তিনি সম্মিলিত পদক্ষেপের ওপর গুরত্বারোপ করেন।
পৃথকভাবে সাক্ষাৎকালে দুতগণ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শান্তি মিশনে ভূমিকার ও প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট এর একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।